যে কারনে সালথায় খুন ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে

আবু নাসের হুসাইন
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিটি গ্রামে দুই বা দুইয়ের অধিক গ্রাম্য দল রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন আরেকজনকে পশুর মতো কুপিয়ে খুন করছে। মানুষের নৈতিক চরিত্র দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষে। স্বার্থ হাসিল করার জন্য পরের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। কারো প্রতি কারো মহব্বাত নেই। লোভের বশে পড়ে মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠেছে। 
এখানকার তুচ্ছ ঘটনাগুলি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না করে, অন্যের উস্কানী পেয়ে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করছে। যখন বিষয়টি বড় আকার ধারণ হয় তখন একে অপরকে ধমানোর জন্য প্রয়োজনে দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এতে কারো মায়ের কোল খালী হতে পারে এবং উভয় দলের অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে  প্রহর গুণতে হচ্ছে। আর যদি এই সংঘর্ষে কেউ মারা যায়, তবে প্রতিপক্ষের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট নিয়ে এক পক্ষ নাচতে থাকে। তাতে শত শত নারী-পুরুষ গ্রাম ছাড়া হয়, সংসারের প্রয়োজনীয় যাবতীয় মালামাল হারাতে হয়। এমনকি কিছু কিছু নারী নির্যাতনের স্বীকারও হোন। এমন ঘটনার বেশ কিছু প্রমান মানুষের হৃদয়ে গাঁথা রয়েছে।  
এসব ঘটনা ঘটার কারণ হচ্ছে- একটি খুন হয় এক বা দুই জনের হাতে, এর ষড়যন্ত্রকারী কয়েকজন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু সংঘর্ষ বা হামলায় যদি কেউ খুন হয়, তাহলে গ্রাম্য দলের কথায় ২০/৩০ জন অথবা তার অধিক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বেশির ভাগ মামলায় গ্রাম্য মাতুব্বারের পকেট ভারী করার জন্য ও পূর্বের শত্র“তানুযায়ী নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হয়। তাই মামলার সু-বিচার হয় না। এরকম অগণিত প্রমান এই উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও যখন নিরীহ মানুষ আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়ায় তখন তার পরিবারের ছোট-বড় সবাই অসহায় হয়ে পড়ে। আর তখনি অসহায় পরিবারের লোকজন অভিশাপ করতে থাকে। সেই অভিশাপ আল্লাহু সহ্য করতে পারে না। তাই এক
আবু নাসের হুসাইন, স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিটি গ্রামে দুই বা দুইয়ের অধিক গ্রাম্য দল রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন আরেকজনকে পশুর মতো কুপিয়ে খুন করছে। মানুষের নৈতিক চরিত্র দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষে। স্বার্থ হাসিল করার জন্য পরের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। কারো প্রতি কারো মহব্বাত নেই। লোভের বশে পড়ে মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠেছে। 
এখানকার তুচ্ছ ঘটনাগুলি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না করে, অন্যের উস্কানী পেয়ে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করছে। যখন বিষয়টি বড় আকার ধারণ হয় তখন একে অপরকে ধমানোর জন্য প্রয়োজনে দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এতে কারো মায়ের কোল খালী হতে পারে এবং উভয় দলের অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে  প্রহর গুণতে হচ্ছে। আর যদি এই সংঘর্ষে কেউ মারা যায়, তবে প্রতিপক্ষের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট নিয়ে এক পক্ষ নাচতে থাকে। তাতে শত শত নারী-পুরুষ গ্রাম ছাড়া হয়, সংসারের প্রয়োজনীয় যাবতীয় মালামাল হারাতে হয়। এমনকি কিছু কিছু নারী নির্যাতনের স্বীকারও হোন। এমন ঘটনার বেশ কিছু প্রমান মানুষের হৃদয়ে গাঁথা রয়েছে। 

এসব ঘটনা ঘটার কারণ হচ্ছে- একটি খুন হয় এক বা দুই জনের হাতে, এর ষড়যন্ত্রকারী কয়েকজন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু সংঘর্ষ বা হামলায় যদি কেউ খুন হয়, তাহলে গ্রাম্য দলের কথায় ২০/৩০ জন অথবা তার অধিক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বেশির ভাগ মামলায় গ্রাম্য মাতুব্বারের পকেট ভারী করার জন্য ও পূর্বের শত্র“তানুযায়ী নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হয়। তাই মামলার সু-বিচার হয় না। এরকম অগণিত প্রমান এই উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও যখন নিরীহ মানুষ আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়ায় তখন তার পরিবারের ছোট-বড় সবাই অসহায় হয়ে পড়ে। আর তখনি অসহায় পরিবারের লোকজন অভিশাপ করতে থাকে। সেই অভিশাপ আল্লাহু সহ্য করতে পারে না। তাই এক সময় তাদেরও এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কথায় আছে না “দেওয়া দিয়ে পাওয়া”।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানের হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দেখা যায়, যারা খুন করে তারা আসামী না হয়ে আসামী হয় অন্যরা। যদিও প্রকৃত খুনীরা আসামী হয় তাহলে মামলার এজাহারে তাদের  নাম থাকে সবার পড়ে। এতে প্রকৃত খুনীরা পার পেয়ে যায়। এ কারনেই প্রকৃত খুনীরা ফের খুন করার সাহস পায়। আর যদি নিরীহ লোকজনকে না ফাঁসিয়ে প্রকৃত খুনীদের ফাঁসানো হতো তাহলেই অপরাধীদের বিচার হতো। এই বিচার দেখে পরবর্তীতে কেউ খুন  করার সাহস পেতো না। সব মিলিয়ে দেখা যায়- খুন, সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাট হওয়ার জন্য দায়ী গ্রাম্য দলের নেতৃত্বদান কারীরা। এসব নেতৃত্বকারীদের দমন করতে পারলে, তবেই উল্লেখিত ঘটনাগুলি ক্রমান্ময়ে শিথীল হতে পারে।ময় তাদেরও এই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কথায় আছে না “দেওয়া দিয়ে পাওয়া”। 
উপজেলার বিভিন্ন স্থানের হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দেখা যায়, যারা খুন করে তারা আসামী না হয়ে আসামী হয় অন্যরা। যদিও প্রকৃত খুনীরা আসামী হয় তাহলে মামলার এজাহারে তাদের  নাম থাকে সবার পড়ে। এতে প্রকৃত খুনীরা পার পেয়ে যায়। এ কারনেই প্রকৃত খুনীরা ফের খুন করার সাহস পায়। আর যদি নিরীহ লোকজনকে না ফাঁসিয়ে প্রকৃত খুনীদের ফাঁসানো হতো তাহলেই অপরাধীদের বিচার হতো। এই বিচার দেখে পরবর্তীতে কেউ খুন  করার সাহস পেতো না। সব মিলিয়ে দেখা যায়- খুন, সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাট হওয়ার জন্য দায়ী গ্রাম্য দলের নেতৃত্বদান কারীরা। এসব নেতৃত্বকারীদের দমন করতে পারলে, তবেই উল্লেখিত ঘটনাগুলি ক্রমান্ময়ে শিথীল হতে পারে।
Share on Google Plus

About faridpur info 24

Faridpurinfo24.com-ফরিদপুরের তথ্য বাতায়নে আপনাদের স্বাগতম। ফরিদপুরের সকল খবরাখবর আপনাদের কাছে পৌছে দিতেই আমাদের এই প্রয়াশ। আপনার সকল মতামত ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন। সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. মনিরুল ইসলাম টিটো ফরিদপুর । মোবাইল: ০১৭১৬৩৪৬০৩০

0 comments :

Post a Comment