স্টাফ রিপোটারঃ
আয় কে যাবি আয়রে তোরা আয়/আমার সাথে সবুজ শ্যামল গাঁয়/পাখির গানে ঘুম ভাঙ্গাবো/গলায় তোর মালা পরাবো/পথ দেখাবো পূব দখিণা বায়/দূর্বা ঘাসে পথ চলাবো নবান্নতে অন্ন দেবো ঘুম পাড়াবো ছই বাঁধানো নায়.......।
অস্তিত্বের শেকড়ে ফেরার এমন আহবান যিনি কবিতার পংক্তির মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন তিনি কবি নাজমুল হক নজীর।১৯৫৫সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালদী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।দশক গননায় সত্তর দশকের হলেও নাজমুল হক নজীর বাংলার একজন মৌলিক কবি।তাঁর কবিতার সহজ প্রকাশভঙ্গি ও গভীর জীবনবোধ পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করে।ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও যে কোন কবি নিজস্বতা নিয়ে কবিতা লিখতে পারেন নাজমুল হক নজীর সেটা মনে রেখেছিলেন।আর এ কারনে তিনি আমাদের উপহার দিতে পেরেছিলেন- আয়নায় আপন অবয়ব অথবা নোনা জলের বাসিন্দা’র মতো কিছু কালজয়ী কবিতা। কবি’র শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ “নোনা জলের বাসিন্দা”।
এছাড়া “স্বৈরিণী স্বদেশ”,“কালো জোছনার এক চুমুক”,“কার কাছে বলে যাই”, “ঘুরে দাঁড়াই স্বপ্ন পুরুষ”, “স্বপ্ন বাড়ি অবিরাম”, “এভাবে অবাধ্য রঙীন”,“ভিটেমাটি স্বরগ্রাম”, প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ,আর “সাধনার ফসল”, “আবার শ্লোগান”, “ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম” ছড়ার বই, সম্পাদিত গ্রন্থ গাজী খোরশেদুজ্জামানের কিশোর কবিতা এবং ফরিদপুর অঞ্চরের ইতিহাস বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ “আমাদের ফরিদপুর-১ অঞ্চল”।
কবি’র এ পর্যন্ত ৮টি কাব্যগ্রন্থ ,৩টি ছড়া, ১টি ইতিহাস গ্রন্থ, ১টি সম্পাদিত গ্রন্থ, নির্বাচিত কবিতা ও কবিতা সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে।সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ কবি’র জীবদ্দশায় শ্রেষ্ঠ সম্মাননা- কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার, ,কবি খান মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন সাহিত্য পুরস্কার,কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস স্মৃতি পদক ,শ্রী হরিদর্শন পুরস্কার ও ভারত থেকে রাহিলা সাহিত্য পুরস্কার ।
“শ্লোগানের কবি” খ্যাত নাজমুল হক নজীর এর ৬১তম জন্মজয়ন্তীতে আমাদের শ্রদ্ধা।
0 comments :
Post a Comment