ফরিদপুর প্রতিনিধি :
মৃত ভেবে দাফনের জন্যে নিয়ে যাওয়ার পর ফরিদপুর জেলা শহরের আলীপুর কবরস্থান থেকে বেঁচে ফেরা শিশুটির চিকিৎসা চলছে ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে জীবিত থাকলেও শিশুটি এখনো শংকামুক্ত নয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা। যদিও ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যরা নানা সমস্যার কারণে ঢাকায় স্থানান্তর করতে চাইছেননা।
এদিকে জীবিত শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করার বিষয়ে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীমকে প্রধান করে গঠন করা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। তাদের তিন দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, অপরিপক্ব শিশুটিকে বাঁচাতে হলে ঢাকায় আনা জরুরি। তবে দীর্ঘ সময় যাত্রা করার মতো শারীরিক অবস্থা নেই তার। সে েেত্র একমাত্র হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় আনা যেতে পারে।
নবজাতকের দাদা মো. আবুল কালাম মিয়া জানান, ৫ মাস ২২ দিনের গর্ভাবস্থায় ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যাশিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘গালিবা হায়াত’। তিনি বলেন, ওর বর্তমান শারীরিক যে অবস্থা, তাতে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাত্রার ধকল সহ্য করতে পারবে না। তাছাড়া আমাদের মতো পরিবারের পে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করার আর্থিক সংগতি নেই।’
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা (২৬) ও নাজনীন আক্তার (২৩) দম্পতির প্রথম সন্তান। আগামী জানুয়ারি মাসে ভূমিষ্ঠ হওয়ার কথা থাকলেও শিশুটি ৫ মাস ২২ দিনের মাথায় গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভূমিষ্ঠ হয়। জন্মের পর শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন। পরে সকাল ছয়টার দিকে শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করার সময় শিশুটি কেঁদে ওঠে। #
ভক্সপপ (ফুটেজের শেষে) ক্রমানুসারে : ডা. সজল কুমার সাহা, ইনকিউবিটর সেক্টরের সিনিয়র স্টাফ নার্স লতা দাস ও শিশুটির নানী হেলেনা বেগম। #
0 comments :
Post a Comment