ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের কবরস্থান থেকে বেঁচে ফেরা শিশুটি মারা গেছেন। চারদিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে সে মারা যায়।
শিশুটির দাদা মো. আবুল কালাম জানান, রোববার রাত পৌনে একারোটার দিকে ওই শিশুর লাইভ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। তিনি জানান, সকালে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিশুটিকে নিজ শহর ফরিদপুরে নিয়ে আসা হবে।
এর আগে শনিবার বিকালে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের কমলাপুর এলাকা থেকে প্রসুতি নাজনীন আক্তার পপিকে অসুস্থাবস্থায় ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন রোগীর শশুর মো. আবুল কালাম মিয়া। এসময় ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অন্য প্রসুতি রোগীর অপারেশন করছিলেন ডা. রিজিয়া আলম। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা বারবার চিকিৎসককে দেখতে অনুরোধ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিজিয়া আলম রোগী অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলেন। এসময় তাকে পীড়াপিড়ি করলে সে (চিকিৎসক) রোগীর কাছে যাওয়ার সময় সে স্বাভাবিকভাবেই কন্যা সন্তার প্রসব করে। এসময় ডা. রিজিয়া আলম প্রসব করা নবজাতক মৃত ঘোষনা করেন। পরে বুধবার রাত তিনটার দিকে নবজাতককে শহরের অলীপুর কবরস্থানে দাফন করার উদ্ধেশ্যে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে সকালে দাফন করা হবে বলে জানিয়ে দেন ওই মাওলানা হাজী আব্দুর রব। পরে শিশুটিকে কাটুনে মোড়ানো অবস্থায় কবরস্থানের অন্য একটি কবরের পাশে রেখে চলে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কবর দিতে গেলে মাওলানা শিশুটির মাথা কোন দিকে তা নিশ্চিত করতে কাটুন খুললে শিশুটি কান্না করে নড়েচড়ে ওঠে। তাৎক্ষনিক তাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। #
0 comments :
Post a Comment