ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সালথা উপজেলায় মা-ছেলে সহ তিন জন, সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় দুই দিন মজুরের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন। এর আগে রোববার বিকালে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়। দুই দিনে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো সাত জনে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. ফায়েকুজ্জামান জানান, সোমবার সকালে বজ্রপাতে সালথা উপজেলার ভাবুকদিয়া গ্রামের গৃহবধু হেলেনা বেগম ও তার শিশুপুত্র হেলাল মারা যায়। এছাড়া মো. মিলন নামে আরো একজন মাঠে কাজ করার সময় নিহত হয়।
এদিকে চরভদ্রাসনের ছমির ব্যাপারীর ডাঙ্গী এলাকায় একটি জমিতে তিনজন দিনমজুর কাজ করছিল কাজ করছিল। এসময় বজ্রপাত হলে কাবুল নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়। কাবুলের (৪৫) বাড়ী কুষ্টিয়া জেলায়।
এঘটনায় অপর দুই দিনমজুর আহত হয়। তাদের চরভদ্রাসন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, কবিরপুরে খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে মো. ওমর আলী (৪৫) নামে এক দিনমজুরের মুত্যু হয়েছে। তার বাড়ী নাটোর জেলায়। এসময় আরেক দিনমজুর আহত হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনেএকই পরিবারের তিনজন সহ মোট পাঁচজন বজ্রপাতে নিহত হয়।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে বর্ষনের সাথে ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। সেই সাথে বিদ্যুতের চমকানি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ সুরজুল আমিন জানান, দিনভর থেমে থেমে ভারী ও মাঝারি বর্ষন হতে পারে। সেই সাথে বিদ্যুৎ চমকানি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আর ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক জ্এিম আব্দুর রউফ জানান, বৃষ্টিতে মাঠের ফসলের খুব বেশী ক্ষতি হয়নি। তবে সবজী জাতিয় পন্যের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি জানবান, ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ চমকানোর কারণে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমান বেড়ে গেছে যা ফসলের উন্য উপযোগী।
তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা যায়নি বলেও জানান তিনি। #
0 comments :
Post a Comment