ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় কুমার নদে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে অবাধে দেশি প্রজাতির মৎস্য শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় কিছু অসাধু মৎস্যজীবি অবৈধ ভাবে কারেন্ট জাল, ভেসাল, বাঁধ দিয়ে অবাধে মৎস্য শিকার করলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছেনা। বরং অবৈধ ভাবে অবাধে মৎস্য শিকার করার ফলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ফুলসুতী ইউনিয়নের হিয়াবলদী বাজার ও কাইচাইল ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রামের মাঝি পাড়া সংলগ্ন স্থানে কুমার নদে বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করা হচ্ছে। স্থাণীয়রা জানায়, মাঝিকান্দা গ্রামের মাঝিপাড়ার মৃত বাসুদেব মালোর ছেলে হৃদয় মালো (৪৫) ও মৃত তৃনাথ মালোর ছেলে বিকাশ মালো (৩৫) নদে একটি বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করছে। এর এক’শ গজ দূরে আর একটি বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করছে মাঝিকান্দা গ্রামের মাঝিপাড়ার মৃত সচিন মালোর ছেলে শংকর মালো (৪২)।
এ ছাড়াও, নগরকান্দা উপজেলায় বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল, ভেসাল, বাঁশের বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার ব্যাপক দেখা গেলেও, প্রশাসনের এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই বলে দাবী এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর দাবী, মৎস্যজীবিদের অসচেতনতা, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাব, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নগরকান্দায় অবৈধভাবে অবাধে মৎস্য শিকার করা হচ্ছে। এর ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মৎস্য। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া দুস্কর হয়ে যাবে বলে মনে করেন তারা।
নগরকান্দা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিলা রায় বলেন, দেশি প্রজাতির মৎস্য রক্ষায় আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রশিক্ষন ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মৎস্য আইন মেনে চলতে মৎস্যজীবিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর পরেও কোথাও আইন অমান্য করে মৎস্য শিকার করা হলে, অপরাধীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী মনে করেন, দেশি প্রজাতির মৎস্য রক্ষায় মৎস্যজীবিদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে কর্তৃপক্ষ ভুমিকা রাখবেন।
0 comments :
Post a Comment