চরভদ্রাসন প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় গত ক’দিনের প্রবল বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল পদ্মা নদীর কোল ঘেষে ফসলী জমিতে তীব্র ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। এতে উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়ন চরঝাউকান্দা ও সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ একর পাট ও ধঞ্চে ক্ষেত পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। গাজীরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের সীমানার পদ্মার তীর সংরক্ষন সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় ২শ’ মিটার এলাকায় ধ্বস ও আলিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাজেলখার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হুকুম আলি চৌকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন কবলিত পদ্মার মুখে রয়েছে।
শুত্রবার সন্ধা ৭ টায় উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল প্রামানিক জানান, জয়দবে সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের পশ্চিম দিকের পাট ও ধঞ্চে ফষলী মাঠে গত ৩ দিন ধরে তীব্র বাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন অন্ততঃ ১০ একর করে গত তিন দিনে প্রায় ৩০ একর ফসল সহ জমি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। এতে আলিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগ্রাসী পদ্মা নদীর মুখে রয়েছে।
উক্ত ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, গত বছর উপজেলার সাইনবোর্ড নামক সীমানা থেকে জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রাম পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। গত ক’দিনে পদ্মার খড় ত্রোতের কোপে ও প্রবল বৃষ্টিতে সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় আড়াইশো মিটার এলাকায় ধ্বস দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর পাউবো ব্লক বাঁধ মেরামত অব্যাহত রেখেছেন বলেও তিনি জানান।
চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী ও ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রাম সীমানার মধ্যেবর্তি পদ্মার পয়েন্টের প্রায় এক বিঘাত জমির পাট ফসল সহ পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। পদ্ম নদীর উক্ত পয়েন্টের পাশে সম্প্রতী ১২৫ মিটার তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। তিনি আরও ব্যাপক এলাকা জুড়ে পদ্মা রক্ষা বাঁধ নির্মানের দাবী জানান।
চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মৃধা জানান, ইউনিয়নের চর কালকিনি মৌজায় পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ১৫ দিন আগে উক্ত এলাকায় বাঙন শুরু হলে বসতি পরিবারগুলো আগেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অন্ততঃ ১০টি শূন্য ভিটে সহ ২০ একর জমি পদ্মায় বিলীন হয়েছে। উক্ত চরের একমাত্র স্কুল ‘হুকুম আলী চৌকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ভাঙনমুখী পদ্মার কুলে রয়েছে।
0 comments :
Post a Comment