আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জার্মানির মিউনিখ শহরে একটি শপিংসেন্টারে বন্দুক হামলায় নয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে পুলিশ। লোকজনকে রাস্তায় না থেকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিংসেন্টারে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলা হয়। হামলাকারী ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। সে একাই এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পরপর সে আত্মহত্যা করেছে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলা হওয়ার পরপরই প্রাথমিক খবরে বলা হয়, শপিংসেন্টারে কয়েকটি দোকানের কর্মীরা বের হতে পারেননি। তাদেরকে জিম্মি করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে অবশ্য খবরে বলা হয়, হামলাকারী একাই ছিলেন এবং আত্মহনন করেছেন।
হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বন্দুক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে আসছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যদিও আইএসের দায়িত্ব স্বীকার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
সোমবার বাভারিয়ায় এক অভিবাসী আফগান কিশোর ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের ওপর কুড়াল হাতে হামলা চালায়। এতে ৫ জন আহত হয়। এর পর থেকে জার্মানিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জার্মান কর্তৃপক্ষ আরো হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে জনগণকে সতর্ক করেছে।
স্থানীয় পেট্রোল স্টেশনের এক কর্মীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ‘আমরা শুধু কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স দেখেছি। আর পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের দেখেছি। পুরো এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তাগুলো সম্পূর্ণ ফাঁকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাস্তার পাশেও কোনো গাড়ি নেই। রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি দেখেছি, লোকজন খুব ভীত, তারা ছোটাছুটি করে পালাচ্ছে।’
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলায় গণপরিবহন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। মিউনিখ শহরের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর জরুরি বৈঠকে বসছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের চিফ অব স্টাফ পিটার আল্টমেইয়ার বলেছেন, ‘কারা এবং কেন এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এটা সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে আমরা উড়িয়েও দিতে পারি না, আবার সেটি নিশ্চিত করে এখনই বলতেও পারছি না। তবে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়েই আমরা তদন্ত করছি।’
0 comments :
Post a Comment