লিয়াকত আলী (লাভলু) ঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের ঐতিহ্যবাহী পাইলট হাই স্কুল সকল জলপনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ১৩ ই জুলাই জাতীকরণের ঘোষনা দেওয়া হয় । ৭০ বছরের পুরানো এই স্কুল টি সরকারি করণের জন্য চরভদ্রাসন বাসী সেক হাচিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ বছর দেশের মোট ১১৯ টি উচ্চ বিদ্যালয় জাতীকরণ করেন। এই স্মারকের ১১৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬ নং ক্র
মিকে চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কে জাতীয়করণ করেন। এতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৬০০ পরিবারের শিক্ষার্থী ও ১৭ জন শিক্ষক জাতীয়করণের সুফল পাবেন। জানা যায় ১৯৪৬ সালে পুরাতন খাসির হাটটি পদ্মা নদীতে বিলিন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠিত হয় চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এটি এ উপজেলার একমাত্র শিক্ষা জননী হিসেবে এযাবত কাল পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করে আসছে। অত্র বিদ্যালয় টি শত শত শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার জর্জ, ব্যরিষ্টার পর্যায়ের অনেকের জন্ম দিয়েছে। ১৯৪৬ সালে তৎকালীন জমিদার বাবু শশীকান্ত ভূষণ, শরৎচন্দ্র টিকাদার, জনাব আনসার আলী মোল্যা (তৎকালীন সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়) ও এলাকার দানবীরদের আত্মত্যাগ তিতিক্ষার ফসল অত্র বিদ্যালয়। তারা বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য ৪ একর ৪৬ শতাংশ জমি ও অর্থ কড়ি দিয়ে গড়ে তোলেন অত্র বিদ্যালয়। পরবর্তীতে এ স্কুলটির হাল ধরেন মৌলভী আবুল কালাম, মৌলভী আব্দুল জব্বার, মৌলভী নুরমোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ও গঞ্জুর আলী মোল্যা অপরীসীম ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে বলে জানা যায়। স্কুলটি সরকারি করণের খবর পেয়ে বুক ভরে সুখের কান্না কাদেন চরভদ্রাসন বাসী। চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারি করণের জন্য কাজী জাফরউল্লাহ ও স্থানীয় সংসদ জনাব নিক্সন চৌধুরীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চরভদ্রাসন বাসী। ব্যক্তিগত ভাবে না দেখে চরভদ্রাসনের জনগণের উন্নয়নের কথা ভেবে এক যোগে কাজ করে অচিরেই আবারো চরভদ্রাসনবাসীকে খুশির কান্না উপহার দিবেন আমাদের প্রাণের দাবি গোপালপুর টু মৈনট ফেরি ঘাট উদ্ভোদনের সুখবরের মধ্যে দিয়ে। এটাই চরভদ্রাসন বাসীর প্রত্যাশা ।
0 comments :
Post a Comment