কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর :
শুক্রবার সকালে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার পূর্ব রামকান্তপুর এলাকায় পাট কর্তন পরিদর্শন ও কৃষক-কৃষানীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন, কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি. এম. আবদুর রউফ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল বাসারসহ উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কৃষক-কৃষানীরা জানায় চলতি বছর পাটের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে পাটের দামও ভাল পাচ্ছেন। তবে শেষ মুহুর্তে এসে বিছাপোকার আক্রমনে কিছুটা সমস্যায় পড়েন বলে চাষীরা জানিয়েছে। তবে এখন বিছাপোকার আক্রমন নেই। চাষীরা পাট কর্মন, পাট পচানো, পাট বাছা ও পাট শুকানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত চাষীদের বিছাপোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ দেন কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, বিছাপোকার আক্রমণ পাটের বর্ধনশীল পর্যায়ে তেমন দেখা যায়নি। সম্প্রতি সময়ে বিপ্তি ভাবে দেখা মাত্র আমারা দমনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন আর বিছাপোকার আক্রমণ নাই। মতবিনিময় সভায় ২০ জন কৃষক-কিষানী উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি. এম. আবদুর রউফ জানান, সরকার পাটকে কৃষি পণ্য হিসাবে ঘোষনা করায় চলতি বছর ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৮৩হাজার হেক্টোর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৬হাজার কেক্টোর বেশী জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস বলেন, চলতি বছর ফরিদপুর অঞ্চলে ২লাখ ১৩হাজার ৩১৭ হেক্টোর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ মন ফলন পাচ্ছে চাষীরা। পাটের ভাল মূল্য পাওয়া খুশি চাষীরা।
0 comments :
Post a Comment