মনি হায়দার
এই প্রশ্নরে উত্তর আমার কাছ-ে গল্প। জীবন একটি গল্প। সভ্যতার প্রথম সকালে প্রথম মানুষটি প্রথম চোখ মলেে দখেছেলি, জীবনরে চারপাশে ছড়য়িে আছে রাশি রাশি গল্প। বচিত্রি গল্প। সীমাহীন গল্প। বদেনার গল্প। হাসরি গল্প। মাতাল গল্প। রুটরি গল্প। পাখরি গল্প। প্রাকৃতকি গল্প। হরর গল্প। সুন্দর গল্প। অসুন্দর গল্প। রাত ভাঙা জ্যোৎস্নার গল্প। কৃষকরে গল্প। একটি গল্পে অজস্র আখ্যান। অনকে প্রতশ্রিুত।ি লক্ষ চরত্রি। সইেসব আখ্যান আর চরত্রিরা হাত ধরাধরি করে মানুষরে সংবদেি আত্মার ভতের দয়িে হাজার কোটি দনিরাত্রি পার হয়ে গল্প আজ মানুষরে প্রতদিনিরে প্রতধ্বিন।ি আশার উদ্বোধনী সংগীত। প্ররেণার করুণাসন্ধিু। ডুব সাঁতাররে অথৈ জলে র্ঘূণপিাকরে তাণ্ডব। সৃষ্টি ও সৃজনরে বস্মিয়কর কারুকাজ, গল্প।
আমরা যদেকিে তাকাই গল্প দখেতে পাই। গল্প কালরে স্রোত, জীবনরে রুদ্ধ আবগে, সৌর্ন্দযরে অশ্রুপাত, প্রমেরে মহালগ্ন, বরিহরে সাতকাহন, মলিনরে তীব্র আকাঙ্ক্ষা, বপ্লিব ও বদ্রিোহরে মুষ্টবিদ্ধ হাত... সব কছিুর ভতের গল্প নজিরে জায়গা করে নয়িছেে অবাক দক্ষতায়। জীবনরে গতি যখোনে থমেে যায়, গল্প তার বাস্তব শরীর নয়িে চতেন ও অবচতেনরে দুয়ার খুলে সখোনে অনায়াসে হাজরি হয়। জানান দয়ে, আমি আছ।ি আমি থাকব। আমাকে ছাড়া মানব জীবন অচল। গল্পরে এই র্সাবভৌম রূপ ও রূপান্তর একজন গল্পকাররে শ্রষ্ঠে শক্ত।ি
সইে শক্তরি সর্ম্পূণ আধার নয়িে বাংলা গল্পরে পৃথবিীতে এসছেনে হুমায়ূন আহমদে। র্দীঘদনি ধরে বাংলাগল্প চলে আসছলি একটা ম্যাড়মড়েে কাদা থকথকে ভাব নয়িে ক্লান্ত আর আশ্রয়হীন পথকিরে মতো। গল্পকার হুমায়ূন আহমদে এলনে মড়েে কটেে তড়ে;ে নজিস্ব ঘরানা তরৈি করে গল্পকে দলিনে নতুন বন্যিাস, আনলনে গল্পরে শরীরে তুমুল পরর্বিতন। দলিনে নতুন বাঁক, গড়লনে বাংলা গল্পরে নতুন প্রতমিা।
বাংলা গল্পরে প্রথম মুক্তদিাতা রবীন্দ্রনাথ, তাঁর দখোনো পথ ধরে বাংলা গল্প প্রায় এক শ’ বছর বচিত্রি ধারায় এগয়িে গছেে অনকে অনকে পথ। রবীন্দ্র পরর্বতী নবিষ্টি গল্পকাররো জগদীশ গুপ্ত, নরন্দ্রেনাথ মত্রি, প্রমেন্দ্রে মত্রি, মানকি বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, সয়ৈদ ওয়ালীউল্লাহ, শওকত ওসমান, আনসি চৌধুরী, আবু রুশদ, সরদার জয়নেউদ্দীন, জহরি রায়হান, আখতারুজ্জামান ইলয়িাস, সলেনিা হোসনেসহ আরও অনকে গল্পকাররে হাতে গল্প এগয়িে চলছলি। কন্তিু গল্পকার হুমায়ূন আহমদে র্দীঘদনি ধরে চলা গল্পরে পথটাকে আচমকা আমূল পাল্টে দলিনে। চমক দখোলনে। গল্পরে জন্য আঁকলনে ভন্নি বশৈষ্ট্যিরে এক জগৎ। গল্পকাররো তো বটইে পাঠকও তার সঙ্গে দ্বধিাহীন স্রোতে ভাসতে শুরু করলনে। এবং সইে যাত্রা এখনো অব্যাহত। সব স্রোত, সব মোহ, সব ক্ষোভ, সব মছিলি, সব আরতি মলিতি হয়ছেে তাঁর সঙ্গ,ে তাঁর গল্প।ে তাঁর গল্পরে সৃষ্ট অনবদ্য সব চরত্রিরে ভতেরে আমরা একটা কুহকরে জগৎ পাই। নতুন দনিরে নতুন পাঠকদরে জন্য ভন্নি বশৈষ্ট্যি, আলাদা ও স্বাতন্ত্র্য ঘরানায় একজন বরপুত্র হুমায়ূন আহমদে এলনে, তাঁর আগমনরে জন্য বাংলা সাহত্যি র্দীঘ প্রতীক্ষায় ছলি, তনিি সইে প্রতীক্ষার অবসান ঘটালনে। বাংলা গল্পে আনলনে নতুন দনি। পাষাণে দলিনে প্রাণ। বাঙালি পাঠকরে চত্তি নচেে উঠল অনর্বিাচনীয় আনন্দে ও সুখ।ে এই আনন্দ ও সুখ বাংলা ভাষা ও সাহত্যি যতদনি পৃথবিীতে থাকব,ে চলমান থাকব।ে একজন গল্পকাররে এই স্বয়ম্ভু প্রবল ক্ষমতার কাছে আনত না হয়ে পারা যায় না। বরং কথাটা আমরা এভাবে বলতে পার,ি এই আনত হওয়ার মধ্যে গৌরব আছ।ে বাঙালরি গৌরবরে শতকয়িা খুব কম। সখোনে একজন গল্পকার হুমায়ূন আহমদে আমাদরে জন্য গৌরবরে স্মারক। আনন্দরে উৎস। পালার প্রধান পালাকার। রূপান্তররে শ্রষ্ঠে কারকির।
কী আছে হুমায়ুন আহমদেরে গল্প?ে তাঁর গল্পরে প্রধান আর্কষণ বঠৈকি ঢং বা আয়োজন। আমাদরে অধকিাংশ গল্পকারদরে মধ্যে প্রবল ইচ্ছে থাক,ে পাঠকদরে জানান দওেয়া, যে তনিি মধোবী একজন গল্পকার। চন্তিায় তনিি গভীর চতেনা সম্পন্ন। তার গল্প পাঠ করতে হলে ডকিশনারি নয়িে বসতে হব।ে কনেনা তনিি গল্পই লখেনে না, করনে নরিীক্ষাও। আর নরিীক্ষা করতে গয়িে অবোধতি শব্দ ব্যবহার জরুর।ি গল্প, গল্পরে কাঠামো বা আখ্যান কঠনি থকেে কঠনিতর র্পযায়ে নয়িে যাওয়া আরও জরুর।ি না হলে পাণ্ডত্যি প্রকাশ পায় না। নজিকেে জাহরি করা যায় না। এইসব করতে করতে গল্পকইে গলিোটনিরে তলায় সপে দয়িছেনে। পাঠক প্রায় মুখ ফরিয়িে নয়িছেনে। তারপরও আমারা বুদ হয়ে আছ-ি কোষ্ঠকাঠন্যিরে মহীসোপান। সখোনে গল্পকার হুমায়ূন আহমদে একবোরে উল্টো। তনিি তাঁর গল্প, গল্পরে চরত্রি আর গল্পরে আখ্যান বা কাঠামোকে সরল অভব্যিক্ততি,ে নপিুণ দক্ষতায় পাঠকরে অস্তত্বিরে আস্তনিে সাঁটয়িে দনে চতেনার রং পান্নার ঢঙে সাজয়ি।ে সখোনে থাকে না কোনো পাণ্ডত্যি, থাকে না কাঠন্যি, থাকে না নজিকেে উপস্থাপন করার প্রবল ঝােঁক। গল্প, গল্পরে আখ্যান, চরত্রি আর শব্দাবলি নয়িে অবাক রাজত্ব তরৈি করনে তনি।ি যে রাজত্বে একজন পাঠক অনায়াসে ডুব দতিে পারনে। এমন কী নজিকেে হারয়িওে ফলেতে পারনে। ডুব দওেয়া ও হারয়িে ফলেতে পারার মধ্যইে পাঠক পয়েে যান তার স্বপ্নলোকরে চাব।ি যে চাবরি জন্য পাঠক দনি রাত হাতড়ে বড়োন। হুমায়ূন তাঁর পাঠকরে কাছে খুব যত্নরে সঙ্গে খুঁজতে থাকা চাবরি গোছা তুলে দনে। এইভাবইে তনিি তাঁর গল্পরে জগৎ তরৈি করনে। অতলিৌককি গল্পও তাঁর নতুন উপস্থাপন কৌশলে পাঠক পয়েে যায় ভন্নি এক স্বাদ। হয়তো ভয়ে গা ছমছম করছ,ে তারপরও নষিদ্ধি গন্ধমরে মতো হুমায়ূন আহমদে-এর গল্প তাকে পাঠ করতে হচ্ছ।ে অনকেটা এরকম য,ে পাঠকরে পাঠ না করে নস্তিার নইে। রবীন্দ্রনাথ থকেে আজকরে সকালরে প্রথম গল্পকার- বাংলা গল্প ও গল্পকারদরে র্দীঘ মহাস্মরণীতে এখানইে গল্পকার হুমায়ূন আহমদে অনন্য। অসাধারণ। মহমিান্বতি।
আগইে লখিছে,ি হুমায়ূন আহমদেরে গল্প বাংলা গল্পে এনছেে নতুন বাঁক। কী সইে বাঁক? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবকি। প্রায় এক শ’ বছর ধরে বাংলা গল্প চলছেে বহুমাত্রকি রখোয়। কল্পনায়। আঙ্গকি।ে প্রকরণ।ে শব্দ।ে বাক্য।ে এবং গল্প মানবকি বোধে ছলি সমৃদ্ধ। প্রথম এবং দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধরে অমানবকি ক্ষত, বশ্বি সমাজতান্ত্রকি ও গণতান্ত্রকি দুই কাঠামোয় বভিক্ত, র্মাকনি যুক্তরাষ্ট্ররে ভয়িতেনাম আক্রমণ, ইসরায়লে নামক অবধৈ রাষ্ট্র তরৈ,ি নরিপরাদ ফলিস্তিনিদিরে নজি মাটি থকেে উচ্ছদে করে চরিকালরে উদ্বাস্তু জাতি তরৈি করছে,ে সখোনওে র্মাকনি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রটিনেরে সাম্রাজ্যবাদী হাত। ব্যবহার করছেে জাতসিংঘ নামক নাখদন্তহীন সংস্থাট।ি ১৯৭১ সালে বাংলাদশে ও পাকস্তিানরে যুদ্ধ। যুদ্ধে স্বাধীন র্সাবভৌম রাষ্ট্র হসিবেে বশ্বিমানচত্রিে বাংলাদশেরে আত্মপ্রকাশ। পাকস্তিানি সনোবাহনিী ও তাদরে এ দশেীয় রাজনতৈকি দোসর জামাত রাজাকার আলবদর র্কতৃক বাংলাদশেে চালয়িছেে নরমধেযজ্ঞ। ওরা মলিমেশিে এই দশেরে নারী শশিু কশিোর বৃদ্ধ যুবক যুবতী বুদ্ধজিীবী ছাত্র কৃষক শক্ষিক-অজস্র মানুষ খুন করছেে পবত্রি র্ধমরে নাম।ে কন্তিু নয়িতরি পরহিাস, এত খুন, এত রক্তপাত, তারপরও ওদরে পরাজয় হয়ছে।ে এতসব মানবকি বর্পিযয়রে মধ্যে পাল্টে গছেে দুনয়িা। টলেগ্রিাফ, টলেগ্রিাম অলরডেি দুনয়িা থকেে বদিায় নয়িছে।ে চঠি,ি মানুষরে সঙ্গে মানুষরে নবিড়ি গোপন আর চত্তিার্কষক সর্ম্পক তরৈরি কারখানা আর কয়কে বছর পর দুনয়িা থকেে বদিায় নবে।ে থাকবে জাদুঘর।ে কারণ হাতরে মুঠোয় আছে সলেফোন, সঙ্গে এসএমএস। দ্রুত যান্ত্রকি কোলাহল আর যন্ত্ররে যন্ত্রণায় মানুষরে গভীর অন্তবোধরে আবগে বদিায় নবোর পথ।ে এসবরে সঙ্গে সংযুক্ত হয়ছেে অবাক যন্ত্র কম্পউিটার। কয়কে বছররে মধ্যে কম্পউিটাররে সঙ্গে যুক্ত হয়ছেে ইন্টারনটে। ইন্টারনটে নয়িে এসছেে ফসেবুক। দুনয়িা সত্যইি এক সকেন্ডেে হাতরে মুঠোয় বা তালুত।ে গল্প এইসব পার হয়ে আসতে আসতে নজিকেে কছিুটা যান্ত্রকি সত্তায় বকিয়িে দয়িছে।ে বকিয়িে না দয়িে গল্পরে উপায় নইে। কারণ, পাঠকরে কাছে এখন আছে হরকে রকম বকিল্প। না, কবেল রডেওি টলেভিশিনই নয়, আছে সনিমো দখোরও সুযোগ। ঘরে বসে সডিি বা ডভিডিি কনিে মনরে আশা মটিয়িে সে সময় পার করতে পারনে। র্অথাৎ গল্পকে তার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সময়রে নরিখিে নজিকেে কছিুটা হলওে পাল্টে ফলোর প্রয়োজন হয়ে পড়।ে আমাদরে সৌভাগ্য, গল্পরে নর্মিাতা বা গল্পকাররো সটো বুঝে গছেনে আগইে। এখানইে জগতরে সকল শল্পিকারকিরদরে থকেে গল্পকাররো এগয়িে থাকলনে। বশ্বিগল্পরে পুরোহতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঁেচে থাকলওে নজিকে,ে নজিরে গল্পকে আমূল পাল্টে ফলেতনে। যমেন তনিি ‘শষেরে কবতিা’ লখিে প্রমাণ রখেছেনে, তনিি সময়রে সঙ্গে নজিকে,ে নজিরে ছাঁচ সহজে পাল্টে ফলেতে পারনে! সময়রে সঙ্গে বা সময়কে কছিুটা অতক্রিম করে নতুন নর্মিাণরে প্রয়োগই অগ্রসরমানতা। বাংলা গল্পরে শত প্রবহমানতার ধারায় নজিকেে পাল্টে ফলেে সময়রে সঙ্গে অগ্রসর গল্পকার হুমায়ূন আহমদে অন্যতম কুশীলব।
হুমায়ূন আহমদেরে বড় কৃতত্বি, তনিি খুব সাধারণ বা তুচ্ছ একটা বষিয় অসামান্য দক্ষতায় একটি মানবকি গল্পে রূপান্তরতি করতে পারনে। তুচ্ছ বা অতি সাধারণ বষিয়কে র্সাথক একটি গল্পে রূপান্তর বা পরণিত করার নর্মিােহ ক্ষমতার ভতেরইে গল্পকাররে প্রাণ-প্রার্চুয, ক্ষমতার তরবাররি ধার প্রমাণ রাখতে পারনে। হুমায়ূন আহমদে সইে প্রমাণ রখেছেনে অজস্রবার। তনিি ছোট প্রাণে বড় প্রাণরে চাষ করনে, অবশ্যই শল্পিমান যথাযথ রখে।ে ছোট্ট টলটলায়মান পুকুরকে বশিাল জলদঘিতিে রূপান্তর করার অসম্ভব দক্ষ তনি।ি গল্পে গল্পে সইে শল্পিকলাকে বন্যিাস করতে পরেছেনে, কারণ, তাঁর চতেন সত্তায় গল্প শল্পিকলার সমস্ত ছালবাকল নয়িে বরিাজমান।
বাবা সংসাররে র্কতা। তনিি তো মাছ তরতিরকারি কনিে আনবনেই। হ্যাঁ বাবা বচোরা সময় সুযোগ পলে,ে হঠাৎ হাতে টাকা এলে একদনি একটা বড় মাছও কনিে আনতে পারনে। তাই বলে এই তুচ্ছ ঘটনা নয়িে একটা হৃদয় মোচড়ানো গল্প লখো সম্ভব ? হ্যাঁ সম্ভব। কারণ, গল্পকার যে হুমায়ূন আহমদে!
জরী, দীপু, পরী, তনি ভাইবোন। তাদরে মা হাসনিা আর বাবা। বাবা ছোট্ট একটা চাকরি করনে। হাত টানাটানি থাকইে। ছলেমেয়েদেরে ছোটখাটো আবদার পূরণ করতে পারনে না বাবা। তার বড় কষ্ট। সইে বাবা এক রাতে বাসায় এসছেে অনকে রাত কর।ে ছলেমেয়েরো ভাত খয়েে ঘুময়িে গছে।ে বাবা বড় একটা মাছ এনছে।ে ছলেমেয়েরো ঘুম থকেে উঠে এসছে।ে হাসনিা মাছ বড় বড় করে কটেে ভাজছ।ে আজ সবাই আবার ভাত খাব।ে ছোট্ট বাড়টিায় উৎসব।
গল্পটা এখানইে শষে। কন্তিু শষে হলো না, কারণ গল্পকার যে হুমায়ূন আহমদে, আপনার আত্মার দুয়ার ধরে টান দবেনে য!ে
গল্পরে শষে তনিটি লাইন : ‘বাসন কোসন কলতলায় রাখতে গয়িে হাসনিা অবাক হয়ে দখেে মঘে কটেে অপরূপ জ্যোৎস্না উঠছে।ে বৃষ্টভিজো গাছপালায় ফুটফুটে জ্যোৎস্না। সে অবাক হয়ে তাকয়িে থাকে সদেকি।ে অকারণইে তার চোখে জল এসে যায়।’
আমি নশ্চিতি পাঠক, আপনার চোখে জল না এলওে আপনার সংবদেনশীল মন আপনাকে আমূল নাড়া দয়িে গছে।ে এই জন্যই হুমায়ূন আহমদে অনন্য গল্পকার।
অবদমন, আত্মদমন মানুষরে মনোজগতকে কতখানি বষিাক্ত, আগ্রাসী করতে পার,ে আত্মহননরে কারুকাজে মানুষ কতটা নজিরে কবর খুঁড়তে পার,ে গল্পরে মায়াভুবনে তারই বস্তিার করছেনে হুমায়ূন আহমদে। গল্পরে নাম ‘জ্বীন কফলি’। তাঁর লখোর ব্যাকরণ অনুসারে তনিি গল্পটি শুরু করছেনে। পড়তে পড়তে পাঠক এগয়িে যাচ্ছনে। ক্রমে ক্রমে পাঠক গল্পটরি ভতের ঢুকতে ঢুকতে এক অজানা জগতে প্রবশে কর।ে গল্পকার উত্তম পুরুষে গল্পটি বলছনে। সাধু কালু খাঁ নামক এক অবাক মানুষরে সঙ্গে দখো করার জন্য গল্পকার অনকে দূররে এক গ্রামে গলেনে। সখোনে যাবার পর রাত কাটানোর জন্য একটি মসজদিে উঠলনে। গ্রামীণ মসজদি। মসজদিরে ইমাম তাদরে সাদরে গ্রহণ করলনে। তারপরই গল্পরে প্লট থকেে হারয়িে গলে সাধু কালু খাঁ এবং গল্পকাররে বন্ধু। গল্পে অবর্তীণ হলনে মসজদিরে ইমাম এবং তার স্ত্রী লতফিা। রাতে ঘুমুতে যাবার সময়ে ইমাম তার ও তার স্ত্রী লতফিার ঘটনা বলল গল্পকারক।ে
ইমাম র্সবহারা সাধারণ মানুষ। নত্রেকোনার মমতাজউদ্দনিরে বাড়তিে থাকার জায়গা হলো। সে বাড়তিে কাজ কর,ে খায়, থাক।ে মমতাজউদ্দনিরে তনি ময়েরে মধ্যে লতফিা তার প্রমেে পড়।ে লতফিা খুব সুন্দরী। স্বাভাবকিভাবে ইমামও পড়।ে কন্তিু নজিকেে গুটয়িে রাখ।ে সে মনবিরে ময়েরে সঙ্গে প্রমে করে নমিকহারামি করতে পারবে না। এদকিে লতফিার বয়িে ঠকি হয়ছে।ে লতফিা তার মা বাবাকে জানায় সে র্গভবতী। আর সইে র্গভরে অংশীদার ইমাম। পরস্থিতিি হঠাৎ পাল্টে গলে। মমতাজউদ্দনি অনকে গালগিালাজ করে ইমামরে সঙ্গে রাতইে লতফিার বয়িে দলিনে। শুরু হলো নতুন সমস্যা, বাড়রি কউে লতফিা আর ইমামকে দখেতে পারে না। এক ধরনরে নষিদ্ধি জীবনযাপন চলতে থাকে দুজনরে। একদনি লতফিার বাবার পকটে থকেে টাকা চুরি যায়, দায় পড়ে ইমামরে। যত নীচু শ্রণেরি হোক, মানুষ তো। তারও সহ্য ক্ষমতার একটা সীমা থাক।ে সইে সীমা অতক্রিম করলে ইমাম ও লতফিা বাড়ি থকেে বরে হয়। এবং নত্রেকোনার সদ্দিকিুর রহমান নামক এক লোকরে বাড়তিে থাকার ব্যবস্থা হয়। দুজনে থাকছ,ে সুখরে সংসার। এর মধ্যে লতফিার ঘাড়ে ভর করল এক জ্বীন। নাম তার কফলি। কফলি লতফিার দুটো সন্তান মরেে ফলেছে।ে এখন লতফিা র্গভবতী। সইে সন্তানকওে মরেে ফলোর হুমকি দচ্ছি।ে এবং টোটাল বষিয় নয়িে ইমাম খুব পরেশোনতিে আছ।ে
গল্পটা বশে বড়। হুমায়ূন আহমদেরে গল্প খুব বড় হয় না। কন্তিু ঘটনা আর গল্পরে টানাপোড়নেরে ঘনঘটায় এই গল্পটি বড়। তো গল্পকার সইে সকালে ঢাকা চলে এলনে। গল্পকাররে জীবনরে নানা ধরনরে ঘটনা তনিি মসিরি আলকিে বলনে। মসিরি আলি মনোবদি। তনিি যুক্তরি মাপকাঠতিে সব ঘটনা বচিার বশ্লিষেণ করনে, সমাধান দনে। এই গল্পওে তার ব্যতক্রিম হয় ন।ি ‘জ্বীন কফলি’ গল্প আলোচনার শুরুতে লখিছেলিাম, অবদমন মানুষকে কোন কুয়ায় নয়িে নয়ি,ে তার প্রতফিলন পাব এই গল্প।ে ইমাম আর লতফিার ঘটনা দুইবার শুনলনে মসিরি আল।ি তারপর তনিি ‘জ্বীন কফলি’ গল্পরে প্রধান কুশীলব লতফিার চরত্রিরে ব্যাখ্যা দলিনে।
‘ময়েটো অসুস্থ। মনোবকিার ঘটছে।ে ইমাম সাহবে লোকটি তাদরে আশ্রতি। তাদরে পরবিাররে চাকর-বাকররা যে কাজ করে সে তাই করত। ময়েটেি ভাগ্যরে পরহিাসে এমন একজন মানুষরে প্রমেে পড়ে যায়। প্রচণ্ড মানসকি চাপরে সম্মুখীন হয়। পরবিাররে সবার কাছে ছোট হয়। অপমানতি হয়। এত প্রচণ্ড চাপ সহ্য করার ক্ষমতা তার ছলি না। তার মনোবকিার ঘট।ে পোয়াতি অবস্থায় ময়েদেরে হরমোনাল ব্যালান্স এদকি-ওদকি হয়। সইেসময়ে মনোবকিার তীব্র হয়। ময়েটেরি ক্ষত্রেওে তাই হয়ছে।ে ময়েটেি দরদ্রি ইমামকে বয়িে করে কঠনি মানসকি চাপরে সম্মুখীন হয়ছে।ে একইসঙ্গে সে লোকটকিে প্রচণ্ড ভালোবাসে আবার প্রচণ্ড ঘৃণাও কর।ে কী ভয়াবহ অবস্থা!
ময়েটেি ইমামকে ঘৃণা করে এটা কনে বলছনে?
ইমামতি পশো ময়েটেরি পছন্দ নয়। পছন্দ নয় বলইে ময়েটেি কফলিরে গলায় বলছে-ে ইমাম আসছ।ে অজুর পানি দ,ে জায়নামাজ দ,ে কবেলা কোনদকিে বলে দ।ে এক ধরনরে রসকিতা করার চষ্টো করছ।ে
মনোবকিার এমন ভয়াবহ রূপ নলি কনে? সে নজিরে বাচ্চাকে হত্যা করছে কনে?
বড় ধরনরে বকিারে এ রকম হয়। সে নজিকেে ধ্বংস করতে চাইছ।ে নজিরে সন্তান হত্যার মাধ্যমে সইে ইচ্ছার অংশ বশিষে র্পূণ হচ্ছ।ে আরও কছিু থাকতে পার।ে না দখেে বলতে পারব না।’
গল্পটি শষে হয়ওে শষে হলো না। কারণ, গল্পকার এবং মসিরি আলি সইে গ্রামে গয়িছেলিনে। লতফিার সঙ্গে কথা বলছেনে মসিরি আল।ি লতফিা তার ভুল বুঝতে পরেছে।ে
আমারা আগরে লখোয় ফরিে যাই। লখিছেলিাম অবদমনরে প্রক্রয়িা। একটি গল্পরে একজন লতফিার ভতের দয়িে গল্পকার হুমায়ূন আহমদে আমাদরে বধ্বিস্ত সমাজ কাঠামোর অজস্র লতফিা-ইমামরে ঘটনা উপস্থাপন করছেনে। আমাদরে সমাজ,ে রাষ্ট্র,ে পুলশিরে কাছে পাবলকি, পলটিশিয়িানদরে কাছে পাবলকি, সচবিালয়রে টবেলিে টবেলিে লাল ফতিার ফাইলে আটকা পাবলকিরে প্রাণ, পবত্রি ঈদে দোকানদারদরে গলাকাটা দাম-প্রতটিি ক্ষত্রেে বাঙালি এখন চরম অবদমনরে ভতের দয়িে যাচ্ছ।ে মনে হচ্ছে দশেে চলছে হরলিুটরে বাতাস বতিাড়ন। এই গল্পে লতফিা লক্ষ কোটি লতফিার প্রাণভোমরা হয়ে উঠছে।ে
আমি ব্যক্তগিতভাবে এক একজন গল্পকারকে সমাজরে ববিকে বল।ি কনে বল?ি যখন সমাজ রাষ্ট্রে পচন ধর,ে সমাজরে মাথাওয়ালা মানুষগুলো নজিদেরে বাঁচানোর জন্য পবত্রি ঈমান বক্রিি করে দয়ে পানরি দর,ে তখন গল্পকাররো তাদরে গল্পে চরত্রিে আখ্যানে সইে পচনরে বষিক্রয়িা কাউকে পরোয়া না করইে প্রকাশ কর।ে অবশ্য যসেব হাঙরদরে জন্য গল্প, তারা কোনোদনি, কখনো সইে গল্প পড়ে না, পাঠ তো অনকে পররে কথা। পড়ে না বলইে সমাজ ও দশেটা ক্রমাগত তলয়িে যাচ্ছ।ে হুমায়ূন আহমদেরে গল্প সর্ম্পকে লখিতে বসে কনে এসব কথা লখিছি ? কারণ, তাঁর গল্প। গল্পটরি নাম ‘তুচ্ছ।’
গল্পরে প্রধান চরত্রি বদরুল আলম। তনিি সম্প্রতি সরকারি চাকরি থকেে অবসর গ্রহণ করছেনে। সমাজ দশে রাষ্ট্র নয়িে খুব ভাবনে। তনিি দশেরে ক্ষুর্ধাথ শশিুদরে জন্য রুটি বানানোর একটি প্রকল্প চালু করছেনে। রুটি বতিরণ সমতি।ি সংক্ষপেে রুবসি। গল্পরে গল্পকারও এই প্রকল্পরে একজন নযিুক্ত হয়ছেনে। উপায় নইে। এক এলাকায় থাকতে গলেে অনকে কছিু মুখ বুঝে মানতে হয়। গল্পকারও মানলনে। রুটি বতিরণ আপাতত বন্ধ। কারণ, র্বষার জন্য অপক্ষো। তখন শশিুদরে অবস্থা খারাপ থাকে বশে।ি হঠাৎ একদনি পথে বদরুল আলমরে সঙ্গে দখো। তনিি গল্পকারকে দখেে দ্রুত ডাকলনে। বদরুল আলমরে সামনে তনিটি বাচ্চা। তারা কাঁদছ।ে বদরুল বললনে, হাতে সময় নইে। এই বাচ্চাদরে সমস্যা একটু শুনুন। বদরুল আলম কথা বলার কোনো সুযোগ না দয়িে দ্রুত কটেে পড়লনে। শষেে জানা গলে-বাচ্চা তনিটি তাদরে বাবার খােঁজে ঢাকা শহরে এসছেে মামার সঙ্গ।ে বাচ্চাদরে বাবা গাতক। মামা হাতে দশ টাকা ধরয়িে দয়িে বলছেে অপক্ষো করত।ে বাচ্চারা মামার ফরিে আসার অপক্ষো করছে আর কাঁদছ।ে গল্পকার কী করবনে? তনিি পড়ছেনে অকূল সমুদ্র।ে জীবন থকেওে তো মানুষ কছিু শক্ষিা নয়ে। যমেন নয়িছেনে কছিুক্ষণ আগে বদরুল আলমরে কাছ থকে।ে সুতরাং তনিি সইে চালটা চাললনে। তনি বাচ্চার বড়টি ময়ে।ে তার হাতে দশ টাকা ধরয়িে দয়িে আর একজন পথচারীকে ওদরে ঘটনা শুনতে বলে দ্রুত কটেে পড়লনে।
এবার গল্পকাররে সঙ্গে গল্পরে শষেটায় প্রবশে করব।
‘বদরুল আলম সাহবেরে সঙ্গে পরদনি দখো। বাজার করে ফরিছনে। আমাকে দখেে হাসমিুখে বললনে, কী ভালো?
আমওি হাসমিুখে বললাম, জ,ি ভালো।
ইলশি মাছ আজ খুব সস্তা যাচ্ছ।ে পঞ্চাশ টাকায় আজ যে ইলশি এনছেি অন্যদনি তার দাম পড়ত এক শ’। এই দখেনে সাইজ। তনিি ইলশি মাছ বরে করে দখোলনে। বশিাল সাইজ। সঁিড়ি দয়িে উঠতে উঠতে বললনে, ‘রুবসি’ের কাজর্কম’ তো শুরু করা উচতি। র্বষা তো এসে গলে তাই না?
হ্যাঁ তাই। এবার র্বষা আগভোগে নামব?ে
এ বছরওে ফ্লাড হলে তো র্সবনাশ। ফ্লাডরে ব্যাপারটাও কনসডিারে রাখতে হব।ে
আর কোনো কথা হলো না। তনিি ওই বাচ্চাগুলরি কথা কছিুই জজ্ঞিসে করলনে না। আমওি কছিু বললাম না। যনে ওই জাতীয় কোনো ঘটনা আমাদরে জীবনে ঘটে ন।ি আর ঘটলওে সটো খুবই তুচ্ছ ব্যাপার। তুচ্ছ কছিু নয়িে মাথা ঘামানোর সময় কোথায় আমাদরে?’
এই গল্পটি ১৯৭১ সালরে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি থকেে আজকরে বশি কোটি বাঙালরি চরত্রিরে অসাধারণ প্রকাশ নয়? সুযোগরে অভাবে ঘুষখোর না হয়ে সাধুর মতো আমাদরে ক্যারক্টোর। হাজার জনসভায় দওেয়া আমাদরে বকিৃত নতোদরে কথামালা ও চরত্রিরে আর্শ্চয মলি খুঁজে পাচ্ছনে না আপনি এই গল্প?ে শংকর বাঙালরি বামন মানসকিতার কী বাস্তব প্রকাশ! এই গল্পরে উপপাদ্য তো আমাদরে প্রতদিনিরে জীবনরে চাকা। যে চাকার নচিে আমরা প্রতদিনি পষ্টি হচ্ছ,ি থঁেতলে যাচ্ছ,ি অস্থর্চিমসার হচ্ছ-ি কন্তিু তারপরও দাঁত কলেয়িে কছিু দলবাজি বুদ্ধজিীবী দালাল সম্প্রদায় বলে যাচ্ছ,ে আমরা ভালো আছ,ি ভালো আছি আপনাদরে দয়ায়। এই দুঃসময়ে ‘তুচ্ছ’ গল্পটি চাবুকরে মতো নমেে আসে আমাদরে মানবকি চাতাল।ে আর তাই, হুমায়ূন আহমদে, গল্পকার হুমায়ূন আহমদে প্রতবিাদরে ববিকে, সাহসরে ববিকে, গল্পরে দ্রোনার্চায।
একাত্তর আমাদরে জীবনরে শ্রষ্ঠে উজ্বল রঙনি দনি। একাত্তর এসছেলি, তাই শখে মুজবি এসছেলিনে, তাজউদ্দনি আহমদ এসছেলিনে। শত শত মহীয়সী বীরাঙ্গনা, লাখো লাখো মুক্তযিোদ্ধা, একটি রক্তসবুজ পতাকা আর হাজার বছররে স্বপ্ন বাঙালরি একটি স্বাধীন দশে পয়েছে,ি একাত্তররে সোপানতল।ে আমরা বড় অভাগা একটি জাত,ি যারা খুব দ্রুত একাত্তররে মতো বশিাল মহাকাব্যকি প্রান্তরকে ভুলে গছে।ি যারা আমাদরে স্বদশেরে স্বাধীনসত্তার বরিুদ্ধে দাঁড়য়িছেলি, তাদরে র্কুকীতি ভুলে গছে।ি শুধুমাত্র ক্ষমতার ভোগরে কারণ তাদরে প্রতি সর্মথন জানাচ্ছ।ি পৃথবিীতে এখন ১৯৭টি দশে। সইে দশেগুলোর কোনোটতিে এমন আত্মঘাতী প্রবণতা দখেতে পাই না। এমন কী তারা সংসদ সদস্য নর্বিাচতি হয়। তারা মন্ত্রী হয় তাদরে বাড়রি সামনে আমাদরে বুকরে রক্তখচতি পতাকা ওড়।ে তারা লাখো শহীদরে প্রাণরে তৃষ্ণায় আবৃত পতাকা শোভতি গাড়তিে চড়।ে তাও আমাদরে দখেতে হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধরে মাত্র চল্লশি বছররে ব্যবধান।ে
এই অদ্ভুত পাশবকি দৃশ্য আমাদরে দখেতে হবে মাত্র এক প্রজন্মরে মধ্য,ে হুমায়ূন আহমদে নশ্চিয়ই আশা করনে ন।ি কারণ, যুদ্ধে পতিা ফয়জুর রহমানকে হারয়িছেনে তনি।ি তাঁর পরবিার। ফয়জুর রহমান ছলিনে তৎকালীন মহকুমা পরিোজপুররে পুলশি অফসিার। আর আমার বাড়ি সইে পরিোজপুরইে। আমি তাঁর চতেনার অংশীদার। আমি শহীদ ফয়জুর রহমানরে আত্মার প্রতধ্বিনি শুনতে পাই। আমি প্রত্যকে শহীদ মুক্তযিোদ্ধার কাছে আমাদরে ভীরু কাপুরুষ মরেুদণ্ডহীন রাজনীতবিদিদরে হয়ে ক্ষমা র্প্রাথনা করছ।ি শহীদ ফয়জুর রহমানরে পুত্র হুমায়ূন আমাদরে গল্পে স্বাভাবকিভাবইে মুক্তযিুদ্ধরে রক্ত কুসুম প্রস্ফুটতি হবইে। মুক্তযিুদ্ধরে অবনিাশি স্রোতধারা তাঁর চতেনার র্শীষবন্দিুতে শামসুর রাহমানরে কবতিার মতো জ্বলজ্বল করে উড়ছ।ে তাঁর গল্প,ে গল্পরে চরত্রিে আর রক্তাপ্লুত গল্পরে কলকবজায় পাকস্তিান সনোবাহনিী ও তাদরে এদশেীয় সর্মথক দোসরদরে বরিুদ্ধে মুক্তযিোদ্ধাদরে সশস্ত্র লড়াই, তাদরে গত,ি বরিামহীন পথচলা র্বণাঢ্য হয়ে উঠছে।ে র্মূত হয়ে উঠছে।ে মনে হচ্ছে এখনো বাংলার পথমোঠে অন্তবীক্ষে আমাদরে যুদ্ধ চলছ-ে মুক্তযিুদ্ধ তাঁর গল্পে এতটাই সজীব, সচল আর অগ্নমিয়। সবচয়েে বড় আবষ্কিার হুমায়ূন আহমদেরে গল্প আমাদরে সকল আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠছে।ে
0 comments :
Post a Comment