ফরিদপুরে দুটি মাথা নিয়ে জন্মেছে এক শিশু। ৬ জুলাই সকালে শহরের প্রভাতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয় শিশুটি।
শিশুটির বাবা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার অটোচালক মাসুদুর রহমান মোল্লা। মায়ের নাম শিখা আক্তার। তাঁদের এটি প্রথম সন্তান। দুই মাথা হলেও শিশুটির একটি হার্ট এবং স্বাভাবিক শিশুর মতো দুটি হাত ও দুটি পা রয়েছে।
শিখার অস্ত্রোপচার করেন প্রভাতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনি চিকিৎসক খায়রুল বাসার। তিনি জানান, আলট্রাসনোগ্রামে শিখার গর্ভে যমজ শিশুর কথা বলা হয়েছিল। স্বাভাবিক প্রসব না হওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রভাতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিশু চিকিৎসক শ্যামল কুমার সাহা জানান, প্রকৃতির খেয়ালে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়। চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় এ ধরনের শিশুকে কনজয়েন্ট টুইন বলা হয়।
দুই মাথার এই শিশুকে দেখার জন্য এলাকার লোকজন প্রতিদিন মাসুদুর রহমানের বাড়িতে ভিড় করছেন। কৌতূহলী মানুষের ভিড় এড়াতে মাসুদুর সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
দুটি মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়ায় শিশুটির নাম রাখা হয়েছে হাসান-হোসেন। মা শিখা আক্তার জানান, ‘দুই মুখ দিয়েই দুধ পান করছে হাসান-হোসেন। এটি আমার প্রথম সন্তান। আমি ওকে এভাবেই বড় করে তুলতে চাই, বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’
হাসান-হোসেনকে পরীক্ষা করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের আরোগ্য সদনে শিশুবিশেষজ্ঞ খন্দকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হিস্ সায়াদের কাছে নেওয়া হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তবে দীর্ঘকালের জন্য দুই মাথার এ শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর। এ জন্য জটিল এক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি মাথা অপসারণ করা প্রয়োজন। তিনি শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
0 comments :
Post a Comment