সালথার বাঁশের সাঁকো


আবু নাসের হুসাইন
সম্প্রতি ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার কয়েকটি জায়গায় পারাপারের জন্য এখনও বাঁশের সাঁকো ব্যবহার হচ্ছে। হাট-বাজারে কৃষি পণ্য নিতে নানান সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে। ধনী-গরীব সকলে ওই সব সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য দাবী করেছেন এলাকাবাসী। 
জানা যায়, আগে উপজেলার প্রতিটি গ্রামগঞ্জে ১২ মাসের মধ্যে ৬ মাস পানি থাকতো।  ছোট-বড় নদী-নালা ও খাল-বিলে সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করতো। যে স্থানে সাঁকো ছিলো না সেখান দিয়ে হরেক রকমের নৌকা ব্যবহার হতো। এভাবেই চলতো মানুষের জীবন-যাপন। মাথায় অথবা নৌকায় করে কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেত। কোথাও কোন প্রকার শান্তি ছিলো না। অগনিত জায়গায় ব্রীজ-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। সে জন্য সাঁকো ও নৌকা প্রায় হারিয়ে গেছে। এরমধ্যে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামের মাটিদহ খালের উপর ও রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া-রামকান্তপুর গ্রামের মাঠের মাঝখানেসহ উপজেলার ৪/৫ জায়গায় বাঁশের সাঁকো রয়েছে। ওই সব জায়গায় সাঁকোর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম খান সোহাগ বলেন, জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্পর্শে সালথা-নগরকান্দায় ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। শ্রদ্ধেয় আপা-মামার প্রচেষ্ঠায় কাকিলাখোলা-গৌড়দিয়া খালের উপর ব্রীজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাহাত ইসলাম বলেন, যে সব জায়গায় বাঁশের সাঁকো রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সে সব স্থানে ব্রীজ নির্মাণ হবে।
Share on Google Plus

About faridpur info 24

Faridpurinfo24.com-ফরিদপুরের তথ্য বাতায়নে আপনাদের স্বাগতম। ফরিদপুরের সকল খবরাখবর আপনাদের কাছে পৌছে দিতেই আমাদের এই প্রয়াশ। আপনার সকল মতামত ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন। সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. মনিরুল ইসলাম টিটো ফরিদপুর । মোবাইল: ০১৭১৬৩৪৬০৩০

0 comments :

Post a Comment