ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় বখাটে সন্তান ফারদিন হুদা মুগ্ধের দেয়া আগুনে পুড়ে সাতদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার ভোরে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন পিতা এটিএম রফিকুল হুদা। এঘটনায় ক্ষুব্দ ফরিদপুরবাসী হত্যাকারী সন্তানের বিচার দাবী করেছে।
জানাগেছে, কয়েকমাস আগে আদরের সন্তানকে ইয়ামাহা (আর১৫ ভি২) মডেলের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা এটিএম রফিকুল হুদা ও মা সিলভিয়া হুদা দম্পতি। কয়েকদিন আগে পূর্বের মোটর সাইকেলটি বিক্রি করে নতুন করে ইয়ামাহা (কেটিএম) মডেলের একটি নতুন মোটর সাইকেল কিনে দেয়ার দাবী জানান পুত্র ফারদিন হুদা মুগ্ধ। পিতার রফিকুল হুদা মোটর সাইকেল কিনে দিতে অস্বীকার করলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে পিতার সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঘরের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন পুত্র মুগ্ধ। এতে দগ্ধ হন বাবা এটিএম রফিকুল হুদা। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সামান্য আহত হন মা সিলভিয়া হুদা। তাৎক্ষনিক তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মুগ্ধ এবছর ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দুর্গা রানী সিকদার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আতিকুর রহমান জানান, কাসে কিছুটা অনিয়মিত মুগ্ধ অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক ছিল। কারোসাথে খুব একটা মিশতোনা। এমনকি শিক্ষকদের সাথেও ভালো সম্পর্ক ছিলনা। এঘটনায় ক্ষুব্দ স্কুলের শিক্ষার্থীরাও।
এদিকে এ ঘটনা দু:খজনক উল্লেখ করে পিতা হত্যাকারীর ন্যায় বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী। এ অপ্রত্যাশিত দু:সংবাদ শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে মানুষ। যদিও সন্তানদের সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক আরো নিবিড় হওয়া প্রয়োজন বলেও মত তাদের।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস (ব্লাস্ট), ফরিদপুরের সমন্বয়কারী এ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী মনে করেন, পরিবারের নানা অসঙ্গতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে তাই এ জন্যে পরিবারকেই সচেতন হতে হবে।
এদিকে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।
0 comments :
Post a Comment