ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের কবরস্থান থেকে বেঁচে ফেরা শিশু গালিবা হায়াতের মৃতক্যুর খবরে শোকাহত ফরিদপুরবাসী। নিহত শিশুর স্বজনরা দাবী করেন, চিকিৎসকের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। অফপরদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন অপুর্ণাঙ্গ এধরনের শিশুর বেঁচে থাকার দৃষ্টান্ত বিরল।
গত বুধবার রাতে অসুস্থাবস্থায় নাজনীন আক্তার নামে গৃহবধু অসুস্থাবস্থায় শহরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হলে অবহেলার শিকার হন। এসময় কারো স্বাভাাবকভাবে ওই গৃহবধু কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে ওটিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে শিশুটিকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তাকে দাফন করতে নিয়ে গেলে কবরস্থানে কেঁদে ওঠেন শিশুটি। এঘটনার পর শিশুটিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার বিকালে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। স্কায়ার হাসপাতালে রোববার রাত ১১.৪৫মিটিটে শিশুটি মারা যায়।
এ খবরে শোকাহত হয়ে পড়েন শিশুটির পরিবার, স্বজন ও ফরিদপুরবাসী। স্বজনরা মনে করেন, চিকিৎসকরা সতর্কতার সাথে চিকিৎসা দিলে এধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন ফরিদপুরবাসী। যাতে ভবিষ্যতে এঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এধরনের নবজাতকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। শারীরিকভাবে অপূর্ণঙ্গ থাকায় ৪৮ বা ৭২ ঘন্টার মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে থাকে। এসময় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নিরঞ্জন কুমার দাস জানান, শিশুটির চিকিৎসায় অবহেলা হয়নি। তবে ভুমিষ্ট হওয়ার সময় কি হয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি।
এদিকে এঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তিনদিনের সময় বেঁধে দিলেও যথাসময়ে প্রতিবেদন দিতে পারেনি ওই কমিটি। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শওকত আলী জাহিদ জানান, তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
চিকিৎসা সেবার মত মহার পেশায় নিয়োজিতরা আরো বেশী আন্তরিক হবেন এমব প্রত্যাশা ফরিদপুরবাসীর। #
0 comments :
Post a Comment