ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মানে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ক্ষমতাবলে দোকান ঘর উত্তোলন করে তা বন্টন করছেন অভিযোগ স্থানিয়দের। ফলশ্রুতিতে স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, কৃষ্ণপুর বাজারে স্কুলের জায়গায় ২৯ টি নতুন দোকান উত্তোলন করা হয়েছে। এসব দোকান প্রতি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আড়াই/তিন লাখ টাকা নেয়া হলেও স্কুলের ফান্ডে জমা দেয়া হয়েছে অবস্থান অনুযায়ী দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। তাছাড়া যারা দোকানের জন্য আবেদন করেছিল তাদের অনেককেই দোকান না দিয়ে একই ব্যক্তিকে একাধিক দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও অভিগোগ রয়েছে।
বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দোকান ঘর উত্তোলন করা এবং বন্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরো ১১টি দোকান ঘর উত্তোলনের জন্য পুরাতন দোকান গুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এসব দোকান ভাঙার জন্য একটি রেজুলেশন হলেও দোকান উত্তোলন ও পুরাতন দোকানের সরঞ্জাম বিক্রির কোন রেজুলেশন হয়নি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ইচ্ছেমতো কাজ করছেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, সভাপতি তার ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষক ও সদস্যদের কোন কথাই তিনি মানছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন ২৯ টি দোকান যাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়া হলেও স্কুল ফান্ডে কম টাকা জমা দেয়া হয়েছে। নতুন আরো যে ১১টি দোকান ঘর নির্মান করা হচ্ছে সেখানে আগে থাকা পুরাতন ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে অন্য ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সভাপতির ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খন্দকার আমিরুল হক বলেন, স্কুলের দোকান নির্মানের বিষয়ে রেজুলেশন করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব এখনো করা হয়নি।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকতারুজ্জামান তিতাস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। আমি সভাপতি নির্বাচিত হবার পর স্কুলের সংষ্কার কাজে হাত দিয়েছি। কাজ করতে গেলে নানা কথা ওঠে। যেসব কথা উঠেছে তা একেবারেই মিথ্যা। আমি অন্যায় কিছুই করিনি।
উল্লেখ্য, কোনো উন্নয়ন কাজ করতে দুই লক্ষ টাকা অধিক হলে ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে সেই কাজের ইস্টিমেট তৈরী করার নিয়ম থাকলেও তা না করে সভাপতি নিজের ইচ্ছামত কাজ করছেন। এছাড়া কোনে দোকান বরাদ্দ দিলে বরাদ্দের টাকা স্কুল ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা ও ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা প্রকল্পে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলে দাবী স্থানীয়দের। #
0 comments :
Post a Comment